রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:: ঢাকার দোহার থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে “তালীমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসায়” অভিযান চালিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে জামায়েত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম বিষয়টি শুক্রবার রাত ১০ টায় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গেপ্তারকৃতরা হলেন, পশ্চিম রাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামায়েত ইসলামীর দোহার উপজেলার জেনারেল সেক্রেটারী এ.কে.এম নুরুল আলম জিলু মাষ্টার(৫৪), পূর্ব নিকড়া গ্রামের দোহার উপজেলা জামায়েতের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম(৪২), উপজেলা জামায়েতের রুকুন মো. আশরাফ হোসেন(২৩), ডাইয়ারকুম এলাকার বাসিন্দা সাবেক উপজেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের জোনাল সেক্রেটারী ও বর্তমান উপজেলা জামায়েতের সদস্য মো. সালমান হোসাইন(২০), উপজেলা জামায়েতের রুকুন মাহমুদুল হাসান আলমগীর(৪৫) ও নিকড়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা জামাতের সদস্য মোঃ ওয়াসিম(১৮)।
দোহার থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত জামায়েত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ তালীমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার সভাকক্ষে বসে জনসাধারনের জানমালের ক্ষতিসাধনসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করছিলো এমন সংবাদ পুলিশ জানতে পারে। এরপর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের নির্দেশক্রমে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম, দোহার থানার ওসি হারুন অর রশীদসহ পুলিশ বাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তাগন অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার সভাকক্ষ থেকে ৬ জনকে আটক করে। আটকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাঁদের সাথে এ ঘটনায় যুক্ত এজাহারভূক্ত মামলার আসামী ২০ জন এবং আরো ৩০/৪০ লোক ছিলো। তাঁরা সকলেই নাশকতার পরিকল্পনায় যুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে ইসলামী উগ্রবাদী লেখা ৪৩ টি বই, ৮ টি মোবাইল, ৮ টি ককটেল, বোতলে ভর্তি পেট্রোল, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, রামদা, একাধিক ল্যাপটপসহ নাশকতার কাজে ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাযুক্ত করে গেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা নং-১। তারিখ ০২/০৮/২০২৪। রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।